![](https://apgps.edu.bd/wp-content/uploads/2023/08/668807ee1ac6076b5c7204e19978ad0f.jpg)
শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন গোপালগঞ্জ দায়রা আদালতের সেরেস্তাদার এবং মা সায়েরা খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান।
![মা সায়েরা খাতুন ও পিতা শেখ লুৎফর রহমানের শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/1251A/production/_113943057_75.jpg)
১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেন তাঁর সাত বছর বয়সে। নয় বছর বয়সে তিনি ভর্তি হন গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে এবং পরে ম্যাট্রিক পাশ করেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে। খেলাধুলায় খুব উৎসাহ ছিল। তরুণ বয়সে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতেন।
![১৯৪০ সালে এক ফুটবল টুর্নামেন্টে জেতার পর। শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম সারি বাঁদিক থেকে তৃতীয়।](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/14C2A/production/_113943058_sheikhmujiburrahmanayoungfootballplayer.frontrowthirdfromleft-1940fixed..jpg)
তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল থেকে। ১৯৪২ সালে এন্ট্রান্স পাশ করার পর শেখ মুজিব ভর্তি হন কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে, যেটির বর্তমান নাম মাওলানা আজাদ কলেজ। ১৯৪৭ সালে সেখান থেকেই তিনি বি.এ. পাশ করেন। ওই কলেজে পড়ার সময় কলকাতায় সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর ঘরে থাকতেন শেখ মুজিবুর রহমান, যে ঘরটিকে এখন জাদুঘর করা হয়েছে।
![বেকার গভর্নমেন্ট হোস্টেল, কলকাতা](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/1733A/production/_113943059__111105941_bakerhostel-1.jpg)
কলকাতায় কলেজে পড়ার সময় থেকেই শেখ মুজিব সক্রিয়ভাবে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন ১৯৪৬ সালে এবং এ সময়েই তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহকারী নিযুক্ত হয়েছিলেন।
![হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিব](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/1792/production/_113943060__111193930_withsuharawardy.jpg)
১৯৪৬এর প্রাদেশিক নির্বাচনে শেখ মুজিব মুসলিম লীগের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি যোগ দিয়েছিলেন বেঙ্গল মুসলিম লীগে। তিনি পাকিস্তানে আলাদা মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বেঙ্গল মুসলিম লীগের হয়ে সক্রিয় আন্দোলনে অংশ নেন ১৯৪৬য়ে। ৪৬য়ে কলকাতায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর শেখ মুজিব শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন । দাঙ্গার বিরুদ্ধে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর শান্তি মিশনে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে কথা বলতে তিনি ও মি. সোহরাওয়ার্দী দেখা করেন মি. গান্ধীর সঙ্গে।
![মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং তরুণ ছাত্র নেতা শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/65B2/production/_113943062_2.jpg)
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা ভাসানী ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করার পর শেখ মুজিবুর রহমান মুসলিম লীগ ছেড়ে দিয়ে এই নতুন দলে যোগ দেন এবং তাঁকে পূর্ব পাকিস্তান অংশের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
![আর্মানিটোলা ময়দানে ১৯৫৩র মে মাসে আওয়ামী মুসলিম লীগ আয়োজিতেএক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/B3D2/production/_113943064_9.jpg)
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নামে গঠিত বিরোধী রাজনৈতিক জোটের টিকেটে ১৯৫৪র নির্বাচনে গোপালগঞ্জ আসন থেকে বিজয়ী হন শেখ মুজিব। তাঁকে তখন কৃষি ও বন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ওই জোটের মূল দাবি ছিল পূর্ব পাকিস্তানের জন্য অধিকতর স্বায়ত্তশাসন।
![১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে নির্বাচনে জেতার পর শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে শপথ নিচ্ছেন। তাঁকে শপথ পড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক।](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/8CC2/production/_113943063__111196104_11.jpg)
উনিশশ’ ৫৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে দলের নাম থেকে “মুসলিম” শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। শেখ মুজিব আবার দলের মহাসচিব নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে শেখ মুজিব, প্রাদেশিক আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রী হিসাবে যোগ দেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আতাউর রহমান খান। তবে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কাজ অব্যাহত রাখার জন্য তিনি মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন ১৯৫৭ সালে।
![১৯৫৬ সালে তাঁর রাজনৈতিক গুরু এবং প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে শেখ মুজিবুর রহমান।](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/150EE/production/_113945268_16.jpg)
দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর ১৯৫৭ সালের ২৪শে জুন শেখ মুজিব চীনে সরকারি সফরে যান।
![১৯৫৭ সালের জুন-জুলাইয়ে চীনা সফরের সময় চীনা রাষ্ট্র প্রধান ও চীনা কম্যুনিষ্ট পার্টির প্রধান মাও-জে-দংয়ের সাথে শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/1C56/production/_113945270_13.jpg)
পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করা হয়। সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। অন্যান্য সাধারণ ছাত্রনেতাদের নিয়ে ১৯৬১ সালে গোপনে তিনি স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ নামে এক সংগঠন গড়ে তোলেন, যার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করা। বিভিন্ন জনসভায় আইয়ুব খানের শাসনের বিরোধিতা করে ভাষণ দিতে থাকেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬২ সালে আইয়ুব খানের সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
![১৯৬২- এক প্রতিবাদ বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/6A76/production/_113945272_20.jpg)
১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ই ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “ছয় দফা দাবি” পেশ করেন। এর ফলে তাঁকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে যে মামলাটি হয় তাতে এক নম্বর আসামী করা হলো ১৯৬৮ সালের ৩রা জানুয়ারি। বলা হল শেখ মুজিব ও তাঁর সহযোগী বাঙালি কর্মকর্তারা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা শহরে ভারত সরকারের সাথে এক বৈঠকে পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করেছে।
![আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার শুনানির জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শেখ মুজিবকে](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/B896/production/_113945274_fiwfvluzujhidpxkydfzlzoxdnrwzc.jpg)
ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় তা এক সময় গণ আন্দোলনে রূপ নেয়। সেই গণ আন্দোলন বা ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান চরম রূপ ধারণ করলে পাকিস্তান সরকার শেষ পর্যন্ত এই মামলা প্রত্যাহার করে নেয় এবং শেখ মুজিবসহ অভিযুক্ত সকলকে মুক্তি দেয়া হয়।
![ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নেবার পর কারামুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা মুজিব, কন্যা শেখ হাসিনা ও পুত্র শেখ কামালের সঙ্গে - ১৯৬৯ সাল](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/106B6/production/_113945276_25.jpg)
রেস কোর্স ময়দানে ২৩শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ এক বিশাল জনসভায় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে শেখ মজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয়েছিল। ১৯৭০-এর নির্বাচনে শেখ মুজিব তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় দেশের জনগণকে ছয় দফার ভিত্তিতে ভোট দেবার আহ্বান জানিয়েছিলেন। দলের প্রতীক হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন ‘নৌকা’।
![১৯৭০য়ে তেজগাঁওতে নির্বাচনী জনসভা](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/C322/production/_113945994_27.jpg)
শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে ওই নির্বাচনী ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণ তৈরি করল। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো, শেখ মুজিবের স্বায়ত্তশাসনের নীতির প্রবল বিরোধিতা করলেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ল মার্চ জাতীয় পরিষদের উদ্বোধনী অধিবেশন স্থগিত করলে, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা বুঝতে পারল যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও শেখ মুজিবুর রহমানের দলকে সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না।
![তাজউদ্দীন আহমেদ এবং আওয়ামী লীগের সাতজন নারী নেত্রীর সঙ্গে ১৯৭০এ নির্বাচনের ফলাফল রেডিওতে শুনছেন শেখ মুজিবুর রহমান।](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/EA32/production/_113945995__111196111_listeningto70results.jpg)
ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ এক জনসভায় শেখ মুজিব সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হবার আহ্বান জানান। পঁচিশে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী সর্বাত্মক হামলা চালালে শুরু হয় বাংলাদেশের নয় মাস ব্যাপী সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম।
![রেস কোর্সে শেখ মুজিবুর রহমানের সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/11142/production/_113945996__111198113_7march-2.jpg)
শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলো পশ্চিম পাকিস্তানে এবং ফয়সালাবাদের একটি জেলে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হলো। এরপর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২-এর দশই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে গেলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
![পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২-এর দশই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে যান শেখ মুজিবুর রহমান।](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/13852/production/_113945997__111198115_gettyimages-515401652.jpg)
বাংলাদেশে ফিরে অল্পদিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি থাকার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন, বলেছিলেন জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের কথা।
![১৯৭২ সালের ১২ই জানুয়ারি শপথ নিচ্ছেন শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/18672/production/_113945999_39.jpg)
যুদ্ধ বিধ্বস্ত নতুন দেশকে গড়ে তুলতে বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রে গেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভের পর শেখ মুজিব ওআইসি, জাতিসংঘ ও জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ নিশ্চিত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে ভ্রমণ করে বাংলাদেশের জন্য মানবিক ও উন্নয়নকল্পের জন্য সহযোগিতা চান।
![নভেম্বর ১৯৭২য়ে জাতিসংঘের মহাসচিব কুর্ট ভাল্ডহাইমের সাথে শেখ মুজিবুর রহমান](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/2750/production/_113946001_scan0010.png)
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ভূমিকার প্রেক্ষাপটে দুই রাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে ১৯৭২ সালে ১৯ মার্চ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীন বাংলাদেশে এক রাষ্ট্রীয় সফরে এসে ভারতের পক্ষে এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৫ বছর মেয়াদী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
![মুজিব ইন্দিরা মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর দুই প্রতিবেশি দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ একটি চুক্তি](https://ichef.bbci.co.uk/news/640/cpsprodpb/12024/production/_113946737_5.jpg)
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর আগে পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবন ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের যে বাড়িটি থেকে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে বাড়ি থেকে পাকিস্তানি বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চের রাতে, স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ১৯৭৫-সালে ১৫ই অগাস্টের রাতে সেই বাড়িতেই সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের হাতে নিহত হয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে।